প্রজনন মৌসুমে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ আহরণ করায় ২৭ জেলে আটক করেছে নৌ—পুলিশ
আবদুল মোতালেব বাবুল
নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার মেঘনা নদীতে প্রজনন মৌসুমে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ আহরণ করায় ২৭ জেলে আটক করেছে নৌ—পুলিশ।
পরে তাদের ভ্রাম্যমাণ আদালতে ১লক্ষ ৩৫হাজার টাকা অর্থদন্ড করা হয়। দন্ডপ্রাপ্ত জেলেরা ভোলার লাল মোহন এবং চরফ্যাশনের বাসিন্দা। রোববার (২৯ অক্টোবর) বিকেল ৫টার দিকে এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সুরাইয়া আক্তার লাকী ও উপজেলা সহাকারী কমিশনার (ভূমি) গোলাম সরওয়ার যৌথ ভাবে এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এর আগে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার দিবাগত রাতে উপজেলার নিঝুমদ্বীপের দক্ষিণে তিন চর এলাকার মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়ে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সাজু চৌধুরী ও নিঝুমদ্বীপ নৌ—পুলিশের সদস্যরা তাদের আটক করে। হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সুরাইয়া আক্তার লাকী বলেন, ইলিশের প্রজনন মৌসুমে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ মাছ ধরার অপরাধে ২৭ জেলে আটক করা হয়। এ সময় ২ হাজার মিটার কারেন্ট জাল, ২শ’ কেজি মাছ ও ২টি মাছ ধরার ট্রলারসহ ২৭ জেলেকে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার সহযোগিতায় আটক করে নৌ—পুলিশ।
তিনি আরো বলেন, প্রত্যেক জেলেকে মৎস্য সংরক্ষণ আইনে ৫হাজার টাকা করে মোট ১ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা অর্থদন্ড করা হয়। দুই জেলে নাবালক হওয়ায় তাদের দন্ড দেয়া হয়নি। জাল গুলো স্থানীয় ইউপি সদস্যের জিম্মায় রাখা হয়েছে। জব্দকৃত ইলিশ মাছ স্থানীয় পাঁচটি এতিম খানায় বিলিয়ে দেওয়া হয়েছে। ইলিশ মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞার সময় শেষ হলে জাল গুলো দিয়ে দেওয়া হবে।