প্যারামেডিক চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে বিএমএ প্রেসিডেন্ট এর নিকট দাবি
ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ :
রবিবার, ৫ নভেম্বর, ২০২৩
ছবি: ডা: মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, সাবেক এমপি, সভাপতি বিএমএ এবং রাবেয়া আলম খান, ডিএমএফ (ঢাকা), এমসিএইচ (মা ও শিশু)
আশরাফুল আলম সুমন
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্বে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থা আজ একটি ভালো পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছে। স্বাস্থ্যব্যবস্থার এই উন্নয়নে কমিউনিটি ক্লিনিকের অবদান সবচেয়ে বেশি।
দেশে বর্তমানে মোট ১৩ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক ও ৪ হাজার ইউনিয়ন স্বাস্থ্য পরিকল্পনা কেন্দ্র চালু রয়েছে। এই কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্য পরিকল্পনা কেন্দ্রগুলোর মাধ্যমে উন্নত স্বাস্থ্যসেবাকে পিছিয়ে পড়া গ্রামীণ জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে।
আর পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর কাছে দক্ষ প্যারামেডিকদের নিয়ে যেতে পারলে এই স্বাস্থ্যসেবার মান অবশ্যই বাড়বে। এ ছাড়া জটিল রোগের ক্ষেত্রে দক্ষ প্যারামেডিকরা একজন রোগীকে উপযুক্ত চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার বিষয়ে পরামর্শ প্রদান করতে পারবেন।
কমিউনিটি প্যারামেডিকরা যেহেতু এলাকাভিত্তিক স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করবেন, সেহেতু তাদের কমিউনিটি ক্লিনিকে নিয়োগ প্রদান করা হলে সরকারকে একটি ইউনিয়ন পর্যায়ের হাসপাতালে একজন চিকিৎসককে আর নিয়োগ দিতে হচ্ছে না।
কমিউনিটি ক্লিনিকে এই প্যারামেডিকরা প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করবেন এবং জটিল রোগের জন্য উপজেলা বা জেলা পর্যায়ে রোগীকে নির্দেশনা (রেফার) দিয়ে দেবেন।
এতে করে গ্রামীণ জনগণের কাছে স্বাস্থ্যসেবাকে আরও কার্যকরভাবে পৌঁছে দেওয়া যাবে। আর কমিউনিটি প্যারামেডিকরা যেসব রোগীকে রেফার করে দিচ্ছেন, তাদের যেন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসকেরা দেখেন, সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
আমাদের দেশের চিকিৎসকদের মধ্যে এখনো রেফারেন্সের মাধ্যমে আসা রোগী দেখার মানসিকতা গড়ে ওঠেনি। এই মানসিকতা তৈরির লক্ষ্যে কাজ করতে হবে।
আমি মনে করি, এই দক্ষ কমিউনিটি প্যারামেডিকদের কীভাবে স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নে কাজে লাগানো যায়, সেই বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের ভাবা উচিত এবং আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।