আকবর হোসেন সোহাগ
নোয়াখালী সদর উপজেলায় মাদকের বিরুদ্ধে কথা বলায় এক যুবককে পিটিয়ে আহত করার পর হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে। শনিবার সকালে নিহত হুমায়ন কবির মুকুলকে জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। এলাকাবাসী ও স্বজনরা এই হত্যাকান্ডের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও জড়িত মাদকসেবীদের গ্রেপ্তারের দাবী জানিয়েছেন। এসময় শত শত মানুষ এই সন্ত্রাসীদের বিচার দাবী করেছেন।
নিহত হুমায়ুন কবির মুকুল(৩৫) নোয়াখালী ইউনিয়নের আবদুল্যাহপুর গ্রামের আবদুল কাদেরে ছেলে। তিনি বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড বিআরডিবির একটি বাড়ি—একটি খামার প্রকল্পে নোয়াখালীর সেনবাগে মাঠ সহকারী পদে কর্মরত ছিলেন।
শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। এরআগে, গত ১ অক্টোবর সকালে উপজেলার সাহেবের হাট পশ্চিম বাজারে নিহতের বাবার সামনে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন হুমায়ুন কবির। সন্ত্রাসী কালা মিয়া, ওমর , সাহাবউদ্দিন, সবুজের নেতৃত্বে এবং রুবেলের মদদে ৮/১০ জন সন্ত্রাসী তার বাবার সামনে সন্তান হুমায়ুককে পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুতর আহত করে।
মুকুলের স্বজন ও এলাকাবাসী জানান, এলাকায় সামাজিক কর্মকান্ডের সাথে যুক্ত থাকার সুবাদে বিভিন্ন সময় মাদক ও অসামাজিক কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে কথা বলতেন তিনি। কয়েক মাস আগে মাদক ব্যবসায়ী কালামের সঙ্গে তার বাকবিতন্ডা হয়। এর জেরে গত ১ অক্টোবর সাহেবের হাট বাজারে মাদক ব্যবসায়ী কালাম, ওমর, সাহাব উদ্দিন, সবুজ, রুবেলসহ সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে তার ওপর হামলা চালায়। এতে মাথায় আঘাত পেয়ে গুরুত্বর আহত হয় মুকুল। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে, পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় ১ মাস ১৬ দিন পর শুক্রবার তার মৃত্যু হয়। মুকুলের স্বজন ও এলাকাবাসী এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শান্তির দাবি জানিয়েছেন। এদিকে ঘটনার সাথে জড়িতরা উল্টো নিহত হুমায়ুন এর পরিবারের সদস্যদের মামলা দিয়ে হয়রানির চেষ্টা করছে।
স্থানীয় নোয়াখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইয়াছিন আরাফাত সত্যত্বা স্বীকার করে বলেন, এরা সন্ত্রাসী দীর্ঘদিন থেকে মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত। মূলত রুবেলের মদদে এসন্ত্রাসীরা পিতার সামনে তার সন্তানকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করেছে। এলাকাবাসী এর দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবী করছে। সুধারাম মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমান পাঠান সত্যত্বা স্বীকার করে জানান, ঘটনার পর পরই এ ঘটনায় একটি মামলা নেওয়া হয়েছে। মামলাটি এখন জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তদন্ত করছে।
Like this:
Like Loading...
Share News