• মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:১২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:

সোনাইমুড়ীতে ভূমিদস্যু সন্ত্রাসী মন্নানের হাত থেকে রেহাই পেতে দিনমজুর মাহফুজের স্ত্রী’র মামলা

Avatar
ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ : বৃহস্পতিবার, ৯ নভেম্বর, ২০২৩

 

 


আশরাফুল আলম সুমন (বিএসসি)


নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী থানার অন্তর্গত সাবেক বেগমগঞ্জ পূর্ব অম্বরনগর ৪ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা সেনবাগ থানার মেয়ে আনোয়ারা বেগম স্বমী মাফুজুর রহমান এক শিশুকন্যা আয়েশসহ বসবাস করেন।

“স” মিলে দিনমজুর কাজ করে মাহফুজ সারাজীবনের কষ্টে অর্জিত ও পত্রিক ভিটা বিক্রি করে একই গ্রামের পার্শ্ব সমাজে গত ০৮ ডিসেম্বর ২০২০ থেকে বসবাস শুরু করেন।

দিনমজুর মাহফুজ দম্পতির সুখ-শান্তি দেখে পাশ্ববর্তী বাড়ির মৃত মজিবুল হকের ছেলে আবদুল মন্নান লোভ হিংসার বশবর্তী হয়ে মাহফুজকে উচ্ছেদ, সম্পত্তি জবরদখলোর উদ্দেশ্য নানান পন্থি আঁকা শুরু করেন। বিভিন্ন সময় তাদের বাড়ির চারপাশে ঘুরঘুর করে। সমাজ সুযোগ মত একপর্যায়ে তাদের বাউন্ডারি ওয়ালের একপাশ ভেঙ্গে ফেলে। অন্য পাশের টিনের বেড়া ও স্যানেটারী টয়লেট বাথরুম ভেঙে ফেলে। বাড়ির চারপাশে লাগানো পাহাড়ি,জলজ ফলজ গাছের চারা কেঁটে উপড়ে তুলে ফেলে।

 

এগুলোর প্রতিবাদ ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে অবগত করলে সে আরো ক্ষিপ্ত হয়। জানা যায়, আবদুল মন্নান স্বভাবত একজন বহুমুখী প্রতারক, জুলুমবাজ, ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক। গত ৭ আগস্ট সোমবার মাহফুজ কাজে চলে গেলে আবদুল মন্নান তার দলবল সহকারে মাহফুজের বসত বাড়িতে হামলা করলে ঘরে থাকা আনোয়ারা বেগম বাঁধা দিলে তাকে এলোপাতাড়ি কিলঘুশি ও লাঠিপিটা করে। সন্ত্রাসীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে ঘরের চারপাশের টিন কেটে তছনছ করে। কয়েকজন ঘরের ভেতর ঢুকে শোকেচ আলমিরা ভাংচুর করে তাদের মাল জিনিস নষ্ট করে ও ১ভরি স্বর্ণের গলার চেইন ও আট আনি স্বণের কানের দুল ছিনিয়ে নেয়। তার ঘরে থাকা ৮ বছর বয়সী একমাত্র শিশু কন্যাও রেহাই পায়নি তাদের অত্যাচারের হাত থেকে একমাত্র আদুরে মেয়ে অস্ত্র ও ভয় বিতির কারনে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে।

আনোয়ারা বেগমের আত্মচিৎকার ও ঘোংরানীতে আস-পাশের লোকজন ছুটে এলে সন্ত্রাসীরা সময় সুযোগ মত তাদের প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে য়ায়।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানায়, পরে তাদের কে নিকতস্ত সোনাইমুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয় রেজি: নং ১৯১২৪ তাং ০৭/০৮/২০২৩। চিকিৎসা শেষে ডারা এলাকার সালিসদার, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও থানার দারস্থ হয়ে কোন সুরাহা না পেয়ে বিজ্ঞ সিনিয়র বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, নোয়াখালী পিটিশন মামলা দায়ের করেন ধারা: ৪২০/৪০৬/৪৪৮/৪৪৭/১৪৩/৩২৩/৩৫৪/৪২৭/৫০৬(২) দন্ডবিধি।

সরজমিন ঘুরে এলাকার লোকজন ও স্বাক্ষীগণের দাবি মিডিয়া কর্মীদের সহযোগিতায় প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা এবং সুষ্ঠু নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে সুবিচার চান ভুক্তভোগী পরিবার।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ

আর্কাইভ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১৩
১৫১৬১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
৩০৩১  
%d bloggers like this:
%d bloggers like this: