লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে বীমার টাকা জমা দিতে গেলে মরিয়ম বেগম নামে এক নারীকে হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত লিটন কুমার দাসকে গ্রেপ্তার করেছে রামগঞ্জ থানা পুলিশ।
সোমবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে রামগঞ্জ থানা পুলিশ তাকে লক্ষ্মীপুর আদালতে সৌপর্দ করেছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেছে বলে জানিয়েছে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই অলি উল্ল্যা।
এরআগে রোববার (২২ অক্টোবর) দিবাগত ভোররাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা লাকসাম এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। লিটন চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার গুপটি গ্রামের পূর্ব গুপটি বাজার এলাকার মৃত সুরেশ চন্দ্র দাসের ছেলে। তিনি রামগঞ্জ উপজেলা ন্যাশনাল লাইফ ইন্সুরেন্স কার্যালয়ের কর্মী।
এজাহার সূত্র জানায়, ভিকটিম মরিয়ম উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামের মালেক হাজি বাড়ির মনির হোসেনের স্ত্রী। ২১ সেপ্টেম্বর ছেলে মিনহাজকে সঙ্গে নিয়ে তিনি টাকা জমা দিতে রামগঞ্জ টাওয়ারের চতুর্থ তলায় ন্যাশনাল লাইফ ইন্সুরেন্সে যান। কিছুক্ষণ পরই লিটন তার স্বামী মনিরকে ফোন দিয়ে জানান যে মরিয়মকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তবে তার ছেলে মিনহাজ বীমা অফিসে বসে আছে। দ্রুত এসে ছেলেকে নিয়ে যেতে ও তার স্ত্রীকে খুঁজে বের করতে বলে লিটন। পরে মনির বীমা কার্যালয়ে এসে ছেলেকে স্ত্রীর কথা জিজ্ঞেস করে। মিনহাজ তখন একটি গলি দেখিয়ে দেয় যেখান দিয়ে তার মা গেছে। কিন্তু ওই গলিতে কোন দোকান বা মানুষের চলাচল নেই। একপর্যায়ে লিটনকে মনির কল দিলে তিনি সদুত্তর না দিয়ে কেটে দেন। এতে মার্কেটের বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করার একপর্যায়ে মরিয়মের মরদেহ পরিক্ত আন্ডারগ্রাউন্ডে পাওয়া যায়। মরিয়মের শরীরের বিভিন্ন অংশে জখমের চিহ্ন দেখা যায়। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। পরদিন নিহতের স্বামী মনির বাদী হয়ে রামগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও রামগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) অলি উল্ল্যা বলেন, আসামিকে কোর্ট পুলিশের কাছে হস্তারন্তর করা হয়েছে। তাকে আদালতে কোর্ট পুলিশের মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন চেয়ে আবেদন করা হয়েছে।