ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নোয়াখালী জেলা দক্ষিণ শাখার সভাপতি মাও. মাহমুদুর রহমান বলেছেন,সরকার এখন নিজের গদি রক্ষায় দমন-পীড়নকে হাতিয়ার হিসেবে গ্রহণ করেছে। এর মাধ্যমে তাদের কিছুটা কাজ হলেও জনগণ এখন বুঝে গেছে এই সরকারের পায়ের তলার মাটি সরে গেছে। তারা এখনো তাদের পুলিশ বাহিনী, গুণ্ডাবাহিনী কাজে লাগিয়ে ফ্যাসিবাদী আচরণ ও মানবাধিকার লঙ্ঘন করেই চলেছে। এতে করে দেশ আন্তর্জাতিক পর্যায়ে হুমকির মুখে পড়ে যাচ্ছে। এর প্রমাণ হিসেবে আমরা দেখছি বাংলাদেশের ওপর নানা ধরনের স্যাংশন, নানা ধরনের ভিসা নীতি বিধি নিষেধ দেয়া হচ্ছে। এমনকি বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে ইউরোপ-আমেরিকার বাজারে আমাদের যে ৭৫ শতাংশ বাজার রয়েছে সেগুলোও ঝুঁকির মধ্যে ফেলছে।
আজ শুক্রবার, ২৭ ই অক্টোবর-২৩ বিকাল ৩ টায় নোয়াখালী জেলা জামে মসজিদ চত্ত্বরে “বিদ্যমান রাজনৈতিক সংকট উত্তরণে সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে জাতীয় সরকারের অধীনে একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচন, সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন(RP) পদ্ধতি প্রবর্তন ও ব্যর্থ নির্বাচন কমিশন বাতিলের দাবিতে” ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নোয়াখালী জেলা দক্ষিণের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিলপূর্ব সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নোয়াখালী জেলা দক্ষিণ সেক্রেটারী মাওলানা আলা উদ্দিন হারুন এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত বিক্ষোভপূর্ব সমাবেশে আরো বক্তব্য দেন, মাও. ফিরোজ আলম, মাও. কাউসার আহমাদ, মুহা. মুদ্দাচ্ছির হোসাইন, মুহা. আবদুল মুকিত, মুহা. দিদার হোসাইন, মাও. আবুল বাশার, ইকবাল হোসাইন, মুহা. বেলাল হোসাইন সহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, মাথায় ইউরেনিয়াম ঢেলে দেবো, তলে তলে আপস হয়ে গেছে, দিল্লি আছে তো আমরা আছি, এই সমস্ত কথায় জনগণ বুঝতে পেরেছে সরকারের কতোটা মাথা খারাপ হয়ে গেছে। তারা বিরোধী দলের নেতাদের শারীরিক হুমকি দিচ্ছেন, বিদেশিদের মন্তব্যের উপর নানান কটু কথা বলছেন। যার মাধ্যমে তারা দেশকে হুমকির মধ্যে ফেলছেন।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, বর্তমান শাসকগোষ্ঠী বাংলাদেশকে গণতন্ত্রহীন রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। স্বাধীনভাবে জনপ্রতিনিধি নির্বাচনের পথ রুদ্ধ করে দিয়েছে। ভাত ও ভোটের অধিকার, স্বাধীন মতপ্রকাশের অধিকারসহ সবকিছুই বর্তমান সরকার কেড়ে নিয়েছে। সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা করলেও গুম-খুন করে তা স্তব্ধ করে দেয়া হচ্ছে।
Like this:
Like Loading...
Share News